ক্রাইম ডেস্ক : রিফিউজি হয়ে ভারত থেকে পাকিস্তানে এর পর সিলেটের জৈন্তাপুরে এসে বসবাস শুরু করেন ইমরান আহমদ। ভারত থেকে বিতাড়িত হলেও ভারতপন্থী দলের রাজনীতিতে জড়িত হয়ে সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগন্জ) আসন থেকে ৭ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হন। আওয়ামী সরকারের প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। এবার তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত মামলা।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইমরান আহমদ। সেবার শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও পরবর্তীতে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন তিনি। টানা পাঁচ বছর এই মন্ত্রণালয় সামাল দেন ইমরান আহমদ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলেও মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়েন তিনি। বছর ঘুরার আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়ার পর থেকে লাপাত্তা হয়ে যান। এবার ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুল সালেহীনসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানব পাচারের অভিযোগে আলতাব খান নামের এক ব্যক্তি ঢাকার পল্টন থানায় এই মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পল্টন মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা মো. খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ওইদিন দুপুরে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুল সালেহীনসহ মোট ১০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আলতাব খান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মন্ত্রী ইমরানসহ আসামিরা। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইমরান আহমদ ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।