ক্রাইম ডেস্ক : অবসরে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে বসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
এসময় ঋণ খেলাপিদের ধরার প্রতিজ্ঞা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, ‘এখন ঋণ খেলাপিদের ধরতে হবে, আমি ধরতে চাই’।
তারা অনেক শক্তিশালী, আপনি ধরতে পারবেন কিনা-সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘দেখা যাক পারি কিনা’। এ সময় পাল্টা প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী নিজেই বলেন, প্রাক্তন আইজিপি কি ধরা পড়েছে? সাংবাদিকরা বলেন, না। মন্ত্রী বলেন, কেন না, তার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ কি দেওয়া হয়েছে।
তিনি সাবেক সেনা প্রধানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেটি এখন পাবলিকলি চলে আসছে।
সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, সে ব্যাপারেতো সরকার কিছু করেনি। জবাবে তিনি বলেন, সরকারি কিছু করেনি কিন্তু সেনাবাহিনী করবে।
সেনাবাহিনীতে তিনি (সাবেক সেনাপ্রধান) এখন নেই, জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাহিনীতে না থাকলেও সেনাবাহিনী করতে পারবে। এখানে সরকারের সমর্থন আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সমর্থন ছাড়া কি পারবে।
সাংবাদিকরা এ সময় মন্ত্রীকে বলেন, কিন্তু এসব ব্যক্তিরাতো বড় হয়েছে সরকারের সমর্থন নিয়ে। এরপর মন্ত্রী জবাবে আর কিছু বলেননি।
এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবলের (আইএমএফ) ভারতীয় অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণমূর্তি ভেনকাটা সাবরামাইন, ঢাকাস্থ আলজেরিয়ার চার্জ অব অ্যাফের্য়াস মিসেস বেনতালিব বসমা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদুতের মন্ত্রণালয়ে স্বাক্ষাত করেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ সময় এই প্রথম সংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় দেশের অর্থনীতি, রির্জাভ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা, বাজেটে নানা দিকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতি আগের জায়গায় নিয়ে আসা হবে। তবে অনেক অসুবিধা ও বাধা আছে, সেটি ওভারকাম করতে হবে। আশা করছি এসব অসুবিধা থাকবে না। অসুবিধা দুর করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে দাতা সংস্থা আইএমএফও সন্তুষ্ট।
এ সময় সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করে অর্থমন্ত্রীকে বলেন, আপনি সন্তুষ্টির পরও অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন-এসময় সাংবাদিকের প্রশ্ন থামিয়ে দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেবপ্রিয়টা কে? আমিতো চিনি তাকে।
এ সময় সংবাদিকরা আরও বলেন, অর্থনীতি দুর্যোগে পড়েছে এটি ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আপনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে স্বীকার করবেন কিনা? মন্ত্রী বলেন, ‘দূর্যোগটা কি, দুর্যোগ মানে কি, আমি বুঝলাম না, শুনেন বিরুদ্ধে বললেই কি চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেলো। দেবপ্রিয়তো বলবেই।
কেন বলবে সংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, উনিতো (দেবপ্রিয়) ওদের লোক, বিরোধী পক্ষের। কিছুই হয়নাই, সব নষ্ট গেছে-তাহলে কি? বিরোধী পক্ষরা ক্ষমতায় থাকার সময়ও একই কথা তিনি (দেবপ্রিয় ভট্রাচার্য) বলতেন, সরকারের সমালোচনা করলেই কি সব বিরোধী পক্ষের।
এসময় অর্থমন্ত্রী জবাবে বলেন-না, কিন্তু তার টোনটা দেখতে হবে। কি বলে সব নষ্ট হয়ে গেলো কিছুই না। অর্থনীতির কোন সূচকে ভাল আছি জানতে চাইলে মন্ত্রী এর কোন জবাব না দিয়ে বলেন, আপনারই দেখেন।