কাজী তৌফিক এলাহী তারেক (ছাতক প্রতিনিধি): সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার পিরপুর গ্রামে ছাত্রদল নেতা সবুজ মিয়া নারী ধর্ষণের অভিযোগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও সমালোচনা।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই সবুজ মিয়া ভুক্তভোগী নারীকে নানা রকমভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। সম্প্রতি এক সুযোগ বুঝে, তিনি ওই নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবার ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর থেকেই সবুজ মিয়া আত্মগোপনে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারীর বাবা বলেন, “আমার মেয়ের সাথে যে অন্যায় হয়েছে, তার সুষ্ঠু বিচার চাই। সবুজ মিয়া একজন প্রভাবশালী পরিবার থেকে আসায় আমরা শুরুতে ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আইনের আশ্রয় নিয়েছি।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সবুজ মিয়া ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাকে নিয়ে আগে থেকেই নানা অভিযোগ ছিল। গ্রামের সাধারণ মানুষ তার আচরণে অসন্তুষ্ট ছিলেন, তবে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পেতেন না।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগে সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিশেষ করে নারীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও দ্রুত তদন্ত ও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে। এক মানবাধিকারকর্মী বলেন, “এ ধরনের অপরাধ সমাজের জন্য ভয়াবহ। দ্রুত বিচার না হলে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন এবং অপরাধীরা আরও সাহস পাবে।”
সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ শোনা গিয়েছিল, তবে প্রভাবের কারণে তা ধামাচাপা পড়ে যায় বলে দাবি করেছেন অনেকেই।
ছাতকের পিরপুর গ্রামবাসী এখন তাকিয়ে আছে আইনের প্রতি। সকলের প্রত্যাশা, দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।