Md Shoriful Alam

Joni Akter Moni ক্রাইম দর্পন ক্রাইম দর্পন ক্রাইম দর্পন crime crimedorpon crimenews crimedorpon.com The Weekly Crime Dorpon Weakly Crime Dorpon Crimedorpon.com crime dorpon crime darpan crimedarpan crimedarpan.com

সাবেক প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী ও এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে

ক্রাইম ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিগত সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের লাল পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর তাঁদের পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) আলী রেজা সিদ্দিকী আজ বুধবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, যেহেতু সংসদ নেই, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য (এমপি) কেউ এখন পদে নেই, তাই তাঁদের পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। নতুন সরকার গঠনের পর মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা লাল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সচিব, সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারাও এই পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট শপথ নেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপি, যাঁদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলে তাঁরা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, লাল পাসপোর্ট সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পেয়ে থাকেন। এর পাশাপাশি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তা ও সরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যরাও লাল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। এ মুহূর্তে কতসংখ্যক লাল পাসপোর্ট রয়েছে, তা বলতে পারেননি সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আলী রেজা সিদ্দিকী। তবে তিনি জানান, যাঁরা এখন পদে নেই, শুধু তাঁদের লাল পাসপোর্টই বাতিল হবে। আর যাঁরা পদে আছেন, তাঁদের লাল পাসপোর্ট থাকছে। সে ক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যেহেতু পদে নেই, তাই তাঁর লাল পাসপোর্টও বাতিল হবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে যান। তখন থেকে তিনি দেশটিতে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা কোন মর্যাদায় ভারতে আছেন, সে বিষয়ে দেশটির সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। এ বিষয়ে গতকাল বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার যে পাসপোর্ট রয়েছে, সেটির সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়া ভারতে অবস্থান করতে পারেন। ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘সংশোধিত ট্রাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ নামে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। তাতে উল্লেখ আছে, উভয় দেশের ডিপ্লোমেটিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদের ৪৫ দিনের মেয়াদে ভিসা ছাড়াই বসবাসের জন্য (ভিসা ফ্রি রেজিম) থাকতে দিতে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে রাজি হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের কথা উল্লেখ করে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই পাসপোর্টের সুবাদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিসা ছাড়া ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি দেশ ছেড়েছেন ১৭ দিন আগে। আরও ২৮ দিন তিনি ভিসা ছাড়া সেখানে অবস্থান করতে পারবেন। তবে এ সময়ের আগে যদি তাঁর লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যায়, তাহলে তাঁকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। একই সঙ্গে ভারতকেও এ নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

Read More
ক্রাইম দর্পন ক্রাইম দর্পন ক্রাইম দর্পন crime crimedorpon crimenews crimedorpon.com The Weekly Crime Dorpon Weakly Crime Dorpon Crimedorpon.com crime dorpon crime darpan crimedarpan crimedarpan.com

সাবেক মন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধ ২৪ হাজার কেটি টাকা আত্মসাতের মামলা

ক্রাইম ডেস্ক : রিফিউজি হয়ে ভারত থেকে পাকিস্তানে এর পর সিলেটের জৈন্তাপুরে এসে বসবাস শুরু করেন ইমরান আহমদ। ভারত থেকে বিতাড়িত হলেও ভারতপন্থী দলের রাজনীতিতে জড়িত হয়ে সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগন্জ) আসন থেকে ৭ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হন। আওয়ামী সরকারের প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। এবার তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত মামলা। জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইমরান আহমদ। সেবার শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও পরবর্তীতে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন তিনি। টানা পাঁচ বছর এই মন্ত্রণালয় সামাল দেন ইমরান আহমদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলেও মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়েন তিনি। বছর ঘুরার আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়ার পর থেকে লাপাত্তা হয়ে যান। এবার ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুল সালেহীনসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানব পাচারের অভিযোগে আলতাব খান নামের এক ব্যক্তি ঢাকার পল্টন থানায় এই মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পল্টন মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা মো. খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ওইদিন দুপুরে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুল সালেহীনসহ মোট ১০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আলতাব খান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মন্ত্রী ইমরানসহ আসামিরা। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইমরান আহমদ ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

Read More