নাদিয়া আক্তার: সম্প্রতি পুলিশের আটকের নাটক করে গুমের অভিযোগ আবারও সমাজে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্যরা কিছু ব্যক্তিকে আটকের ভান করে গায়েব করে দিচ্ছেন, যার পরিণতিতে তাদের পরিবার-পরিজন নিখোঁজ প্রিয়জনের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। এই ধরনের ঘটনাগুলো শুধু আইনের লঙ্ঘনই নয়, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনও বটে। প্রতিটি গুমের ঘটনা একটি পরিবারকে চরম দুঃখ ও যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে দেয়, বিশেষ করে একজন মায়ের হৃদয়কে ভেঙে চুরমার করে।
এই বর্বরতা কবে থামবে? কত মায়ের বুক আর খালি হবে? প্রতিটি গুমের ঘটনা শুধু একটি জীবনই নয়, একটি পরিবারের ভবিষ্যতকেও অন্ধকারে ঠেলে দেয়। পুলিশ, যারা আইন রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত, তারাই যখন আইনের ঊর্ধ্বে থেকে এমন অমানবিক কাজে জড়িয়ে পড়েন, তখন সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, তারা কাকে বিশ্বাস করবে? কাছের মানুষ হারানো পরিবারগুলোর আর্তনাদ দিন দিন বাড়ছে, কিন্তু তাদের কান্না যেন কারও কানে পৌঁছাচ্ছে না।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে, পুলিশের এমন কর্মকাণ্ড শুধু ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার ব্যবস্থার উপরও একটি কালো দাগ। সরকার ও প্রশাসনের উচিত এই ধরনের ঘটনাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। পাশাপাশি, পুলিশ বাহিনীর জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সমাজের প্রতিটি স্তরে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য এই ধরনের বর্বরতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
pov126