ইয়াহইয়া আহমদ তানহার: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জোরপূর্বক টাকা আদায়, এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য।
বিয়ানিবাজারের এক স্কুল শিক্ষক জানান, বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী তাদের রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে এলাকায় চাঁদাবাজি করছেন। ব্যবসায়ী, সাধারণ নাগরিক এমনকি দরিদ্র মানুষরাও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, তারা চাঁদা না দিলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে আক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়াও, বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় অস্ত্রের জোরে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে তারা নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জানান, তারা এসব অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না, কারণ এর ফলে তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এসব অভিযোগ সম্পর্কে এখনও কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেননি। তবে, দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, কিছু নেতা-কর্মীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাব বা দুর্নীতির কারণে প্রশাসন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে আইনের শাসনের প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উচিত দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং অপকর্মে জড়িত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। নইলে দলের ভাবমূর্তি আরও ক্ষুণ্ন হবে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত আইনের শাসন ও নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করা।