মাসুদা আক্তার: বাংলাদেশে পুলিশি হয়রানি এখন একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবীরা পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হচ্ছেন। রাস্তায় অকারণে থামিয়ে যাচাই-বাছাই, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের নামে বেআইনি অর্থ আদায়, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি – এসব ঘটনা এখন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুলিশি হয়রানির মূল কারণ হচ্ছে দায়িত্বজ্ঞানের অভাব, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি এবং জবাবদিহিতার অভাব। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, আইনের অপব্যবহার করে পুলিশ সদস্যরা বেআইনি অর্থ উপার্জন করছেন। মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব এবং ‘বুঝা-পড়া’র সংস্কৃতি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পুলিশের এই ধরনের আচরণ সমাজে ভয় ও অসন্তোষ ছড়াচ্ছে। অনেকেই ভয়ে অভিযোগ করতে পারছেন না, কারণ প্রতিবাদ করলেই নতুন করে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। ট্রাফিক পুলিশের বখরা আদায়, থানায় গিয়ে ঘুষ দাবি, মামলা না নেওয়ার প্রবণতা – এসব এখন সবার জানা বিষয়।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন:
১. পুলিশ বাহিনীতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো
২. অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য পৃথক ও স্বাধীন ব্যবস্থা করা
৩. পুলিশ সদস্যদের মানবিক ও পেশাদারিত্বসম্পন্ন প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা
৪. রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা
৫. জনগণের সাথে পুলিশের সম্পর্ক উন্নয়নে কর্মসূচি গ্রহণ
সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে জনগণের আস্থা আরও কমে যাবে। একটি সুশাসিত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে পুলিশ-জনগণের সুসম্পর্ক অপরিহার্য। এজন্য প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা।
Really enjoyed this! Your writing style is so engaging.