কাজী তৌফিক এলাহী তারেক: মাগুরা শহরের পারলা এলাকায় যৌথ বাহিনীর গোপন অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও নগদ অর্থসহ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফরিদ হাসান খান ও তার আট সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গভীর রাতে এ অভিযান চালানো হয় এবং বুধবার সকালে অভিযুক্তদের সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, ফরিদ খান ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটার গান, চারটি গুলিসহ ম্যাগাজিন, ২৬৪ রাউন্ড অ্যায়ারগানের গুলি, সাত রাউন্ড .২২ ক্যালিবার গুলি, দুটি চাইনিজ কুরাল, ছয়টি চাপাতি, দুটি বিদেশি মদের বোতল, দেড় লাখ টাকা নগদ অর্থ এবং ১১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্যগুলোর বেশিরভাগই অবৈধ বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদ হাসান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রেজা, নূহু দারুল হুদা (হাসপাতালপাড়া), কাজী আরিফুল হক (ভায়না), আবদুল জলিল (আবালপুর), আইনুল হোসাইন (বাখেরা, শ্রীপুর), শাহীন শেখ, ইলিয়াছ খান (পটুয়াখালী) ও সৈয়দ খায়রল আলম (আদাবর, ঢাকা)।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আয়ুব আলী জানান, “গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে যৌথ বাহিনী পারলা এলাকায় অভিযান চালায়। ফরিদ খান ও তার সহযোগীরা সেখানে অস্ত্র ও মাদকসহ অবস্থান করছিলেন। অভিযান চলাকালীন তারা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ঘিরে ফেলে গ্রেপ্তার করা হয়।”
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “এই অভিযান সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও তথ্যনির্ভর। এখানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর কোনো সুযোগ নেই। জননিরাপত্তা ও মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঘটনার পর পারলা ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড চলছিল। তাঁরা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “এমন অভিযান আরও হওয়া উচিত।”