মোছা: ফাতেমা বেগম: সিলেটে জামায়াত শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লুটপাট ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় পুরো শহরে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী এবং ছাত্রসমাজ প্রশ্ন তুলেছে—”কী করছে ইউনুস সরকার?”
যেখানে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা সরকারের, সেখানে তথাকথিত “ইউনুস সরকার” বলে পরিচিত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা দৃশ্যমান নয়। হামলা, লুটপাট এবং ভাঙচুরের এই ঘটনায় সরকারের নীরবতা জনমনে এক বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। সাধারণ মানুষ বলছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাদের হাতে, তারা কোথায়?
একজন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার বলেন, “আমরা যদি এখনো নিরাপদ না থাকি, তাহলে সরকারের কাজ কী? পুলিশের যেমন নিরবতা, তেমনি সরকারেরও কোনো জবাবদিহিতা নেই।
সরকারপন্থী প্রশাসন যদি সন্ত্রাসী তৎপরতা রুখে দিতে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি কী ধরনের প্রশাসন? সাধারণ মানুষ এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, ইউনুস সরকার হয় এই ঘটনাগুলোকে উপেক্ষা করছে, অথবা অদৃশ্যভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এই অনির্বাচিত সরকার কিংবা প্রশাসনিক কাঠামো জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকায় তারা দায়িত্ব নিচ্ছে না—এমন অভিযোগও উঠেছে।
জনগণের একটাই প্রশ্ন—”আমরা যদি নিরাপদ না থাকি, তাহলে আপনার সরকার কোথায়?” তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যর্থতা তদন্ত করে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
সিলেটজুড়ে আতঙ্ক, হামলা ও লুটপাটের এই ভয়াবহ চিত্র একদিকে যেমন জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচন করেছে, অন্যদিকে তথাকথিত ইউনুস সরকারের নিষ্ক্রিয়তা জনমনে গভীর অনাস্থা সৃষ্টি করছে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও নাগরিক নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকার এখন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনুস সরকারের অনৈতিক ও অঘোষিত শাসন কাঠামোর অধীনে প্রশাসন গণমানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা হারিয়ে ফেলেছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনগণের মনে তৈরি হয়েছে গভীর অনাস্থা।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন,
“আমাদের দোকান লুট হলো, পুলিশে খবর দিয়েও কোনো সাড়া পেলাম না। সরকার যদি আমাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তবে তাদের অস্তিত্বের মানে কী?”
আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি—
- অবিলম্বে লুটপাট ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে
- পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে
- সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।