Joni Akter Moni ক্রাইম দর্পন ক্রাইম দর্পন ক্রাইম দর্পন crime crimedorpon crimenews crimedorpon.com The Weekly Crime Dorpon Weakly Crime Dorpon Crimedorpon.com crime dorpon crime darpan crimedarpan crimedarpan.com

সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোক ও ৮৩টি দলিল জব্দের নির্দেশ

ক্রাইম ডেস্ক : সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত গোপালগঞ্জে তার ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের আদেশ দেন।সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন।এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

Read More
Joni Akter Moni ক্রাইম দর্পন ক্রাইম দর্পন ক্রাইম দর্পন crime crimedorpon crimenews crimedorpon.com The Weekly Crime Dorpon Weakly Crime Dorpon Crimedorpon.com crime dorpon crime darpan crimedarpan crimedarpan.com

জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী: অর্থমন্ত্রী

ক্রাইম ডেস্ক : অবসরে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে বসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এসময় ঋণ খেলাপিদের ধরার প্রতিজ্ঞা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, ‘এখন ঋণ খেলাপিদের ধরতে হবে, আমি ধরতে চাই’। তারা অনেক শক্তিশালী, আপনি ধরতে পারবেন কিনা-সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘দেখা যাক পারি কিনা’। এ সময় পাল্টা প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী নিজেই বলেন, প্রাক্তন আইজিপি কি ধরা পড়েছে? সাংবাদিকরা বলেন, না। মন্ত্রী বলেন, কেন না, তার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ কি দেওয়া হয়েছে। তিনি সাবেক সেনা প্রধানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেটি এখন পাবলিকলি চলে আসছে। সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, সে ব্যাপারেতো সরকার কিছু করেনি। জবাবে তিনি বলেন, সরকারি কিছু করেনি কিন্তু সেনাবাহিনী করবে। সেনাবাহিনীতে তিনি (সাবেক সেনাপ্রধান) এখন নেই, জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাহিনীতে না থাকলেও সেনাবাহিনী করতে পারবে। এখানে সরকারের সমর্থন আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সমর্থন ছাড়া কি পারবে। সাংবাদিকরা এ সময় মন্ত্রীকে বলেন, কিন্তু এসব ব্যক্তিরাতো বড় হয়েছে সরকারের সমর্থন নিয়ে। এরপর মন্ত্রী জবাবে আর কিছু বলেননি। এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবলের (আইএমএফ) ভারতীয় অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণমূর্তি ভেনকাটা সাবরামাইন, ঢাকাস্থ আলজেরিয়ার চার্জ অব অ্যাফের্য়াস মিসেস বেনতালিব বসমা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদুতের মন্ত্রণালয়ে স্বাক্ষাত করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ সময় এই প্রথম সংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় দেশের অর্থনীতি, রির্জাভ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা, বাজেটে নানা দিকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতি আগের জায়গায় নিয়ে আসা হবে। তবে অনেক অসুবিধা ও বাধা আছে, সেটি ওভারকাম করতে হবে। আশা করছি এসব অসুবিধা থাকবে না। অসুবিধা দুর করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে দাতা সংস্থা আইএমএফও সন্তুষ্ট। এ সময় সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করে অর্থমন্ত্রীকে বলেন, আপনি সন্তুষ্টির পরও অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন-এসময় সাংবাদিকের প্রশ্ন থামিয়ে দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেবপ্রিয়টা কে? আমিতো চিনি তাকে। এ সময় সংবাদিকরা আরও বলেন, অর্থনীতি দুর্যোগে পড়েছে এটি ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আপনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে স্বীকার করবেন কিনা? মন্ত্রী বলেন, ‘দূর্যোগটা কি, দুর্যোগ মানে কি, আমি বুঝলাম না, শুনেন বিরুদ্ধে বললেই কি চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেলো। দেবপ্রিয়তো বলবেই। কেন বলবে সংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, উনিতো (দেবপ্রিয়) ওদের লোক, বিরোধী পক্ষের। কিছুই হয়নাই, সব নষ্ট গেছে-তাহলে কি? বিরোধী পক্ষরা ক্ষমতায় থাকার সময়ও একই কথা তিনি (দেবপ্রিয় ভট্রাচার্য) বলতেন, সরকারের সমালোচনা করলেই কি সব বিরোধী পক্ষের। এসময় অর্থমন্ত্রী জবাবে বলেন-না, কিন্তু তার টোনটা দেখতে হবে। কি বলে সব নষ্ট হয়ে গেলো কিছুই না। অর্থনীতির কোন সূচকে ভাল আছি জানতে চাইলে মন্ত্রী এর কোন জবাব না দিয়ে বলেন, আপনারই দেখেন।

Read More